সোমবার, ৮ জুন, ২০২০

কথাঃআবোলতাবোল (ফেসবুক ও আমি)

কথাঃআবোলতাবোল


ফেসবুকের দৌলতে আমার ভার্চুয়াল বন্ধুর সংখ্যা এখন হাজার ছুঁই ছুঁই। আমার ফেসবুকের বন্ধুরা অন্য সবার মতই,দুই ক্যাটাগরির। এক,আমি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যাঁদের বন্ধু হয়েছি। দুই আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যাঁরা বন্ধু হিসাবে আমার সঙ্গে জুড়েছেন। প্রথম ক্যাটাগরির বেশিরভাগের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দূরের। এঁরা অনেকে 'জুকারবার্গের যৌথ খামারে'(ঋণঃ গৌরব বিশ্বাস) আমাকে নিয়েছেন  মূলত তাঁদের পোস্টে লাইক,কমেন্টস এর প্রত্যাশায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছুদিন এঁদের কারও পোস্টে এসব না দিলে তিনি কখনও চুপিসাড়ে আনফ্রেন্ড করে দেন। আবার কখনও, কেউ  যখন হুমকি ছোড়েন,নিষ্ক্রিয় থাকলে আনফ্রেন্ড করার,ভয়ে ভয়ে আমিই সরে যাই। আর দ্বিতীয় দল আমাকে চেনেন, অনেককে আমিও চিনি,আর আমি যেহেতু লাইক কমেন্টস এর জন্য এঁদের পাঠানো বন্ধুত্বে বাঁধা পড়িনি,তাই এঁদের সঙ্গে চলতে অসুবিধে হয় না। তবু এঁদের মধ্যে কেউ কেউ বাজে কোনও ছবি বা উস্কানিমূলক পোস্টে যখন আমাকে ট্যাগ করেন অস্বস্তিতে পড়ে যাই। ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের এই প্ল্যাটফর্মে তবু কিছুটা সময় মুখ ডুবিয়ে বসতে খারাপ লাগে না। কাছের দূরের বন্ধুদের কথায় আলোকিত হই,আন্দোলিত হই,আমোদিত হই। প্রতিদিনের রোজনামচায় এভাবে ফেসবুক কিছুটা হলেও সুরভি ছড়িয়ে  যায়। তবে এত করেও ফেসবুকের কপালে কিন্তু গঞ্জনাই জোটে। ব্যবহারিক জীবনে আমার মত অমিশুকেরাও যেখান থেকে রোজ অক্সিজেন নেয়, সুযোগ পেলে তাকেই গালাগালি করে তেড়ে এবং নিজের ফেসবুক সংসর্গের কথা অন্যলোকের কাছে স্বীকার করতেও কুণ্ঠিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন